চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রাথমিক মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিভাজন পরিস্থিতি নিরসন এবং দলীয় ঐক্য সুসংহত করার লক্ষ্যে প্রবীণ নেতা ছালাহ উদ্দীনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে ফটিকছড়ির বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ ধানের শীষের সমর্থক নেতাকর্মীদের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট সাইফুদ্দীন সিদ্দীকী সোহেল। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম–২ আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর ফটিকছড়ি বিএনপিতে যে বিভাজন দেখা দিয়েছে, তা ধানের শীষের ঐতিহ্যবাহী ঘাঁটিকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। এই অস্থিতিশীলতার সুযোগ প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তি নিতে পারে— যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘দলীয় ঐক্য রক্ষার স্বার্থে ত্যাগী নেতা আলহাজ্ব ছালাহ উদ্দীনই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, সততা, ত্যাগ ও আন্দোলন–সংগ্রামে প্রমাণিত নেতৃত্বই ফটিকছড়ির জন্য প্রয়োজন।’
ছালাহ উদ্দীনের রাজনৈতিক অবদান তুলে ধরা হয়, সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ফটিকছড়ি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির গ্রাম সরকার সম্পাদক, সমাজকল্যাণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি এবং সর্বশেষ তিনি উত্তরজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালের উপজেলা নির্বাচনে ২২,০০০ ভোটে এগিয়ে থাকার পরও তাঁর নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয় কারসাজির মাধ্যমে।
বক্তারা বলেন, ‘ফটিকছড়ির সংকট নেতৃত্বে নয়, সংকট সৃষ্টি হচ্ছে কৃত্রিম বিভাজনে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো ঐক্য। আর সেই ঐক্যের নির্ভরযোগ্য প্রতীক আলহাজ্ব ছালাহ উদ্দীন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ দলীয় হাই–কম্যান্ড ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আহ্বান জানান, তৃণমূল বিএনপির প্রত্যাশা— ফটিকছড়ির উন্নয়ন, ঐক্য ও ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে প্রবীণ এই নেতাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হোক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল বারিক, উপজেলা বিএনপির সদস্য বজলুল রহিম, এডভোকেট এম এ কাশেম, মোহাম্মদ হোসেন, আবুল হাসেম মেম্বার, মো. নুর উদ্দীন খান, নুর উদ্দীন নুরু, কে এম আজম, মাস্টার শফিউল আলম শফি, ফারুখ বিন মুছা এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতাকর্মী।
নেতারা একসঙ্গে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিভাজন থামিয়ে ঐক্যের পতাকা তুলতে হবে, আর সেই নেতৃত্বের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নাম—আলহাজ্ব ছালাহ উদ্দীন।’