শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

চবিতে চীনের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৫

চাইনিজ ভাষা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের লক্ষ্য নিয়ে চীনের অর্থায়নে এবং চীনের ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট। এর মাধ্যমে চবি শিক্ষার্থীরা চাইনিজ ভাষা শিখতে পারবেন এবং চাইনিজ শিক্ষার্থীরাও শিখতে পারবেন বাংলা ভাষা। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।

ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠিত হলে চবি শিক্ষার্থীরা কলাবোরেটিভ রিসার্চ, বিনা খরচে স্কলারশিপ পাওয়া এবং আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার সুযোগ পাবেন। এছাড়া কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বিভিন্ন অপারেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম আয়োজন করা হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে নানান বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার জানান, গত ১৪ ও ১৫ নভেম্বর তিনি, চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন এবং চবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ কনফারেন্সে যোগ দেন। পরবর্তীতে চবি, চীন সরকার এবং ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত চুক্তি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়।

এ সময় চীন সরকার ও ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট (উপাচার্য) প্রফেসর ড. ওয়াং ঝিলিয়াং এবং উপ-উপাচার্য শাও ওয়েসিং।

চুক্তি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, চবিতে একটি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে, যেখানে চাইনিজ ভাষা ও সংস্কৃতি এবং বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি শেখানো হবে। চবি চীনকে দেড় একর জমি প্রদান করবে এবং চীন সরকারের অর্থায়নে ইনস্টিটিউটের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তীতে ইনস্টিটিউটের অবকাঠামো সম্পূর্ণ হলে সেখানে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ভিডিও