কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জালিয়াতির অভিযোগে বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১-এর উপসহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বিপ্লব মামলাটি করেছেন।
দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, জালিয়াতির অভিযোগে কেজিডিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক (পরীক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণ) প্রকৌশলী মো. তাজউদ্দিন ঢালী, উপব্যবস্থাপক (বিতরণ) মো. কামরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক (বিক্রয় দক্ষিণ-২) প্রকৌশলী মুহাম্মদ রিফাত নওশাদ ভূঁঞা, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও প্রকৌশলী সুধীর কুমার সাহা রায় এবং পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গাজী মো. বখতেয়ার উদ্দিন ওরফে বকুল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ পটিয়া উপজেলার মনসার টেক এলাকায় সাইনবোর্ডবিহীন একটি অবৈধ অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় চোরাই গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান চালায় কেজিডিসিএলের টিম। বিচ্ছিন্নকরণ প্রতিবেদনে চোরাই গ্যাস-সংযোগ নেওয়ার জন্য এনামুল হক ও মোক্তার হোসেন বকুল মিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁদের নামের জায়গায় ‘একরামুল হক ও নাজমুল হোসেন’ উল্লেখ করে মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
দুদকের তথ্যমতে, ২০০৯ সালে জায়গা ভাড়া নিয়ে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কারখানা চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেন গাজী মো. বখতেয়ার উদ্দিন ওরফে বকুল মিয়া। ২০১২ সাল থেকে চলতি বছরের শুরুর দিক পর্যন্ত সেটি চালু ছিল। ২০১৬ সালে অবৈধ গ্যাস-সংযোগের বিষয়টি প্রমাণ হওয়ার পরও পরস্পর যোগসাজশে জড়িতদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়।