মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকতের আদর্শ, মানবতার শিক্ষা এবং আত্মশুদ্ধির বার্তা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সূর্যগিরি আশ্রম। আশ্রমের প্রতিটি আয়োজনই বিশ্বঅলি হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর ভালোবাসা, মানবতার দিশা ও মওলা হুজুর হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)-এর চেতনার এক জীবন্ত বহিঃপ্রকাশ বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।
মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ সূর্যগিরি আশ্রম শাখার উদ্যোগে ফটিকছড়ির আশ্রম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ১০ পৌষ খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা, মওলা হুজুরের আগমন দিবস স্মরণ, শাখার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং মানবকল্যাণমূলক সেবা কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে আয়োজিত আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে।
অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় সূর্যগিরি আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা লায়ন ডা. বরুণ কুমার আচার্য্যের সার্বিক তত্ত্বাবধানে। শাখার সভাপতি ধীমান দাশের সভাপতিত্বে এবং কৃষ্ণ বৈদ্যর সঞ্চালনায় সভায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বঅলির রওজা শরীফের খাদেম মাওলানা মুহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। প্রধান অতিথি ছিলেন উন্মুল আশেকীন মা মুনাওয়ারা বেগম এতিমখানা ও হেফজখানার হেড মাওলানা আলহাজ্ব হাফেজ আবুল কালাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ি ‘ক’ জোনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলমগীর আলম, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এবং হযরত মীর মোহাম্মদ হারুন শাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর ভ্রাতুষ্পুত্র মীর মোহাম্মদ আল ইব্রাহিম রনি। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সূর্যগিরি আশ্রম কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভাপতি বিপ্লব চৌধুরী কাঞ্চন।
দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থান থেকে আগত অসংখ্য ভক্ত, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে বর্ণাঢ্য। সভার শেষে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।