রাঙামাটি জেলার চট্টগ্রামে অবস্থানরত বাসিন্দাদের নিয়ে বায়েজিদ এলাকার চট্টগ্রাম কনভেনশন সেন্টারে এক প্রীতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা, স্থায়ী শান্তি ও বৈষম্যমুক্ত রাঙ্গামাটি গঠনে জনগণের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা অপরিহার্য। ন্যায্য অধিকার ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেওয়া এখন সময়ের দাবি।’
শনিবার সন্ধ্যার এ মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, চলমান বৈষম্য, রাজনৈতিক দমন–পীড়ন ও উন্নয়ন বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই। শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য পারস্পরিক আস্থা, ন্যায়বিচার ও সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘জামায়াতে ইসলামী মানুষের মৌলিক অধিকার, উন্নয়ন ও ন্যায়ের পক্ষে অটল। রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।’
সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে এবং লংগদু উপজেলা সেক্রেটারি আব্দুল রাজ্জাকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য মুহাম্মদ জাফর সাদেক, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আব্দুল আলিম বলেন, ‘রাঙ্গামাটির মানুষ শান্তি, উন্নয়ন ও সমঅধিকার চায়। এই লক্ষ্য অর্জনে জনগণের সচেতন অংশগ্রহণই সবচেয়ে বড় শক্তি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রবিউল ইসলাম, পাঁচলাইশ থানা আমীর মাহবুবুর হাসান রুমী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি আব্দুস সালাম, লংগদু উপজেলা আমীর নাছির উদ্দিন, কাপ্তাই উপজেলা আমীর হারুনুর রশিদ, কাউখালি উপজেলা সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, জামায়াত নেতা নেয়ামত উল্ল্যাহ বশির, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, আমিমুল্লাহ ফারুকি, মনির হোসেন আমিন, ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
প্রীতি সম্মেলন শেষে রাঙ্গামাটির সার্বিক উন্নয়ন, পাহাড়ি–বাঙালি সম্প্রীতি রক্ষা এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়ে বিভিন্ন সাংগঠনিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।