পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বীকার করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘আমি নাম জানি না, কিন্তু চাঁদাবাজি হচ্ছে। হচ্ছে না? হচ্ছে কি হচ্ছে না— আপনারাই বলেন।’
সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন টার্মিনাল উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বন্দর চেয়ারম্যানসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘চাঁদাবাজি কমানোর জন্য আমরা পুরো ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিয়েছি। চট্টগ্রাম বন্দরও পুরোপুরি ডিজিটাল হবে। তখন আশাকরি চাঁদাবাজি অনেক কমে যাবে। আমি তো ইনভেস্টিগেট করি না, আমি ইনভেস্টিগেটর না। তবে চাঁদাবাজি হচ্ছে— এ কথা আমি অস্বীকার করছি না।’
বে টার্মিনাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম যখন বে টার্মিনাল এলাকায় এসেছিলাম, তখন বিতর্ক ছিল— বে টার্মিনাল হবে কি না। জায়গাটি পরিদর্শন করে দেখলাম এটি খুবই আদর্শ স্থান। এখানে ব্রেক ওয়াটার হবে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আসছে, সরকার টু সরকার ভিত্তিতে কাজ চলবে। এই টার্মিনাল চালু হলে এ অঞ্চল পরিবর্তিত হবে, ইকোনমিক অ্যাকটিভিটি বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বে টার্মিনাল একটি ‘গ্রিন পোর্ট’ হিসেবে গড়ে উঠবে। লালদিয়া প্রকল্প সম্পন্ন হলে এর মূল কাজ শুরু হবে। ভবিষ্যতে এখানে রেল কানেকশনও হবে। আমরা চাই, বাংলাদেশ একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত হোক।’
পরিবেশ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ করতেই পারে। গাছ কাটা হয়েছে কোথায়— দেখান। অভিযোগ করলেই তা সত্য হয় না।’
নতুন প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালের না, ১৯৮৫ বা ১৯৯৫ সালেরও না। এখন ২০২৫ সাল। চীনে গিয়ে দেখলাম— এআই দিয়ে পুরো বন্দর চলছে, ৫–১০ জন লোকই চালাচ্ছে। আমরা কি এখনো পেছনে থাকব? দুনিয়া এগিয়ে গেছে। আমরা যদি নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ না করি, তবে পিছিয়ে পড়ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৭ বছর কথা বলতে পারেনি কেউ। এখন সবাই কথা বলছে, হইচই করছে— এটাই স্বাভাবিক। সরকার দেশের জন্য যা ভালো, সেটাই করছে।’