রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

‘মোবাইল থেকে দূরে থাকি, চল আমরা ফিল্ম দেখি’

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশ : ৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৬

‘মোবাইল থেকে দূরে থাকি, চল আমরা ফিল্ম দেখি’ শীর্ষক শিরোনামে এক ব্যতিক্রমী শিশুতোষ ফিল্ম প্রদর্শনী হয়েছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের লালদিঘিস্থ (জেলা পরিষদ মার্কেটের ৩য় তলায়) চট্টগ্রাম ক্লাসিক্যাল মিউজিক ইনস্টিটিউট (সিসিএমআই) প্রাঙ্গণে।

এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন শিক্ষাবিদ ও সংংগীত চিন্তক প্রফেসর ড.অঞ্জন কুমার চৌধুরী। তিনি তার বক্তবে বলেন, ‘ কিশোরদের মনোজগতের বিকাশে শিশুতোষ ফিল্ম খুব অগ্রণী ভূমিকা পালন করে’। ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের আগ্রাসনের কারণে শিশুদের অনেক মানসিক ও দৈহিক ক্ষতি হচ্ছে। এই ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে হবে।’

শিল্পী মো. ওয়াসিম এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন এই অনুষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা শিল্পী রাজীব দাশ। তিনি বলেন, শিশুরা কোথাও খেলতে পারে না। এরা সারাক্ষণ মোবাইলে আসক্ত থাকেন। বর্তমানের স্কুলগুলো ঊর্ধ্ব- সসম্প্রসারণমুখী। কোথাও বাচ্চারা খেলতে পারে না,  মাটিতেও আছড় খায় না, শরীরও নড়ে না, ব্যাথা পায় না।মোবাইল নামক দানব থেকে বাচ্চাদের একটু দূরে রাখার মানসে এই ফিল্ম প্রদর্শনীর আয়োজন।

শিশু-কিশোরদের উৎসাহ দিতে তাদের সাথে ফিল্ম উপভোগ করেন সাহিত্যিক মাসুম খান। তিনি বলেন মোবাইল থেকে দূরে থাকি, চল ফিল্ম দেখি’ এই টাইটেল দেখে আমার এই অনুষ্ঠানে আসা। মোবাইলের প্রতি আসক্তি শুধু বাচ্চাদের কমালে হবে না, আগে বড়দের কমাতে হবে। বাচ্চাদেরকে খেলার মাঠে ফিরিয়ে নিতেই হবে।

চিত্রশিল্পী দিপক দত্ত বলেন, সুস্থ থাকার জন্য মানবদেহের ৬টি খাদ্যপ্রাণের যেমন সুষমবন্টন থাকা দরকার তেমনি শিশুদেরও দৈহিক ও মানসিক বিকাশে শিল্পের সুষমবণ্টন থাকা চাই। শিশুকে খেলতে হবে এবং সৃজনশীল কাজের সাথে সম্পৃক্ত রাখতে হবে।

এই প্রদর্শনীর মূল পরিকল্পনাকারী কল্লোল বড়ূয়া বলেন, কার্টুন ও এনিমেশন-ধর্মী স্বল্প দৈর্ঘ্যের ৬টি বিদেশি ছবি দেখানো হয়েছে। এই ফিল্মগুলো দেখে শিশুদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহমর্মিতার গুণাবলি প্রকট হবে।

ভিডিও