শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা ৭৫ শতাংশ নিরসন হয়েছে: অন্তর্বর্তী সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৪

চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া পদক্ষেপের ৮৮ শতাংশ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে ৭৫ শতাংশ জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনে চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার নেওয়া প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বিভাগীয় কমিশনার জিয়াউদ্দিন আহমেদ।

বৈঠকের আলোচনার বরাতে আজাদ মজুমদার জানান, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া চারটি বড় প্রকল্পের মধ্যে ৮৮ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।


৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের কমান্ডার জেনারেল শামসুল আলম বৈঠকে জানান, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী চলমান উদ্যোগের ফলে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা এখন ৭৫ শতাংশ নিরসন করা সম্ভব হয়েছে।

সভায় উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম মহানগরের ১১৩টি স্থানে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত জলাবদ্ধতা দেখা যেত। ২০২৫ সালে এসে এ সংখ্যা কমে ২১টি স্থানে নেমে এসেছে, যেখানে জলাবদ্ধতা এখন দুই থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ।

প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়, আগামী বছর জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকার সংখ্যা ১০টিতে নেমে আসবে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা সম্পূর্ণ সহনীয় মাত্রায় চলে আসবে।

বৈঠকে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার মূল কারণ হিসেবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে চিহ্নিত করা হয়। বর্তমানে নগরের খাল ও নালায় প্রতিদিন প্রায় ৪০০ টন বর্জ্য জমছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, নগরে দৈনিক প্রায় ৩২০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হলেও তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিদিন ২৭০০ থেকে ২৮০০ টন বর্জ্যই অপসারণ করা সম্ভব হয়।

ভিডিও