‘সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়’— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাতেও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৫।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা মারজান র্যালির উদ্বোধন করেন। র্যালিটি উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় প্রশাসন প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সমবায় অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সমবায় সমিতির সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সদস্য, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। র্যালি অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার, ফেস্টুন এবং জাতীয় পতাকা হাতে “সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়ি” শ্লোগানটি প্রাণবন্তভাবে উচ্চারণ করেন।
র্যালি শেষে জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় সমবায় দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। ইউএনও আমেনা মারজান বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে মানুষ একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। আমাদের প্রত্যেককে ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে সমবায় কার্যক্রমে যুক্ত হতে হবে। তাহলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণাঢ্য আলোচনা সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও আমেনা মারজান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুর আলম, বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদুল আলম, উপজেলা জামায়াতে ইসলামী’র আমির মাওলানা কবির আহাম্মদ এবং বাঘাইছড়ি ট্রাক্টর সমিতির সভাপতি আব্দুল সবুর।
সভায় বক্তারা বলেন, সমবায় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একটি সফল মডেল হিসেবে কাজ করছে। এটি দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব দূরীকরণ, গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করা এবং সমাজে ন্যায়ভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বক্তারা আরও বলেন, সমবায়ের বিকল্প নেই, কারণ এটি সমাজে সমতা ও সাম্যের মূলনীতির প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করে।