চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) ক্রিয়েটিভ রাইটার্স ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ক্যারিয়ার টক— “How To Pursue A Career In Literature?”। সাহিত্যকে কীভাবে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা যায়, সেই প্রশ্নকেই ঘিরে আয়োজনটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উক্ত ক্লাবের মিডিয়া সেক্রেটারি মুমতাহিনা ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নগরীর জামালখানস্থ সিআইইউ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে মূল বক্তা ছিলেন তরুণ ঔপন্যাসিক ও অনুবদক, ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ফাহাদ। তিনি নিজের সাহিত্যজীবনের পথচলা, অনুপ্রেরণা এবং লেখালেখিকে পেশা হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তব দিকনির্দেশনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আবদুল্লাহ আল ফাহাদ বলেন, লেখালেখি কোনো তাৎক্ষণিক সাফল্যের গল্প নয়। এটি দীর্ঘ ধৈর্য, পাঠাভ্যাস ও আত্মজিজ্ঞাসার ফল। সাহিত্য যদি নিজের সত্যকে খুঁজে নেওয়ার উপায় হয়, তবে সেটিই আসল সফলতা।
অনুবাদ ও মৌলিক উভয় ধারাতেই সমাদৃত এই লেখকের অনূদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘1000 গজ’, ‘দ্য গিভার’ ও ‘দ্য কল অফ দ্য ওয়াইল্ড’। অন্যদিকে, তাঁর মৌলিক উপন্যাস ‘শহর’, ‘নরক’, ‘কাসা ডিয়াবলো’ ও ‘বুলেট কিংবা ভালোবাসায়’ ইতোমধ্যে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানে স্নাতক ফাহাদ বর্তমানে ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিআইইউ স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর ডিন প্রফেসর শারমিন রড্রিক্স। তিনি বলেন, “সৃজনশীলতা শুধু মেধার প্রকাশ নয়, এটি একটি সামাজিক দায়বদ্ধতাও। তরুণরা যদি লেখালেখির মাধ্যমে সমাজকে চিনতে শেখে, তবে সাহিত্যই হতে পারে তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার।”
ক্রিয়েটিভ রাইটার্স ক্লাবের মডারেটর শাকিলা মুশতাক জানান, এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল তরুণদের সামনে লেখালেখিকে পেশাগতভাবে এগিয়ে নেওয়ার পথটি স্পষ্ট করা।
সফলভাবে সম্পন্ন হওয়া এই আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল সিটিজিপোস্ট ও গণতার, কন্টেন্ট পার্টনার দ্য কমন রান এবং কমিউনিটি পার্টনার ছিল নবজাগরণ।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদেরকে সার্টিফিকেট প্রদান করেন উক্ত বিভাগের ডিন, ক্লাব মডারেটর ও শিক্ষকগণ।