চট্টগ্রামের পটিয়া প্রধান ডাকঘরের জমি লিজকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জেলা পরিষদের লিজের অনুমোদন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন, আর অনুমোদনবিহীনভাবে সেখানে দোকানঘর নির্মাণ শুরু হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় জনতা।
জানা যায়, পটিয়া প্রধান ডাকঘরের সামনের অংশটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি সম্পত্তি হিসেবে ডাক বিভাগের দখলে ছিল। সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ গোপনে ওই স্থানের একটি অংশ ব্যক্তির নামে লিজ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে লিজগ্রহীতা লিজ প্রাপ্ত অংশ ছাড়িয়ে পোস্ট অফিসের দখলকৃত এলাকা পর্যন্ত দখল নিয়ে গাছ কাটাসহ দোকান নির্মাণ শুরু করেছে। এতে কয়েক দফায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে লিজগ্রহীতা মোহাম্মদ জমির উদ্দিন পুনরায় গাছ কাটা শুরু করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। এর প্রতিবাদে বিকেলে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’র উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, জেলা পরিষদের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ব্যক্তিস্বার্থে বেআইনি লিজ অনুমোদন দিয়েছেন। তারা বলেন, সরকারি স্থানে দোকান নির্মাণ জনস্বার্থের পরিপন্থী, এতে ডাকঘরের সৌন্দর্য ও নিরাপত্তা উভয়ই বিঘ্নিত হবে। বক্তারা দ্রুত ওই লিজ বাতিলের দাবি জানান।
পোস্টমাস্টার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পরিষদ গোপনে পোস্ট অফিসের সীমানার মধ্যে জমি লিজ দিয়েছে। আমাদের জানানো হয়নি। সেখানে জেলা পরিষদের জমি আছে কিনা তাও নিশ্চিত নয়।’
পটিয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান খন্দকার জানান, পৌর এলাকায় স্থাপনা নির্মাণে অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। কোনো ফি বা নকশা অনুমোদন ছাড়াই কাজ শুরু করা পৌর আইন লঙ্ঘন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক ফারহানুর রহমান বলেন, ‘ওই জমি নিয়ে সরকারি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। সেখানে দোকান নির্মাণ বা লিজ দেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। বিষয়টি জেলা পরিষদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।’