সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের রাস্তার উপর পিলার নির্মাণে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা,আদালতে মামলা

সীতাকুণ্ডে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রেসক্লাবের চলাচলের রাস্তার উপর রাত দিন কাজ করে বিল্ডিং এর পিলার নির্মাণ করায় যে কোন মূহুর্তে  রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়,গত কয়েক দিন ধরে সাজ্জাদ ও আব্বাসের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কুচক্রী মহলটি পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে প্রেসক্লাবের চলাচলের রাস্তা দখল করে সেখানে বিল্ডিং এর কাজ করার জন্য পিলার নির্মাণ করে।এতে প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ফোরকান আবু বাদী হয়ে প্রেসক্লাবের রাস্তার উপর দখলযজ্ঞ বন্ধ করতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।মামলা নং- ১০৭৬/২৪ইং,তারিখ- ২৬/১১/২৪ইং।মামলায় আসামী করা হয় আব্বাস, সাজ্জাদ ও নুর নাহার বেগমকে।এই দখলযজ্ঞ কাজটির পিছনে পৌরসদরের এক আবাসিক হোটেল মালিক অর্থনৈতিক যোগান দেয় বলে অভিযোগ উঠে।উক্ত মালিকের সাথে দফারফা হয় বিল্ডিং করে দিতে পারলে আব্বাসগংদেরকে মোট প্রায় ১৫/২০ লাখ টাকা দেয়া হবে।
উল্লেখ্য আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ওয়াক্‌ফ এষ্টেটের জালাল ভূঁইয়া মার্কেটের উত্তর পাশে পূর্ব পশ্চিমে প্রায় লম্বা ৩০ ফুট ও উত্তর দক্ষিণে পাশে ৬ ফুট চলাচলের রাস্তা পরিত্যক্ত অবস্হায় পড়ে থাকে।এজন্য গত ৩ বছর আগে পরিত্যক্ত উক্ত ওয়াক্‌ফ এষ্টেটের রাস্তাটি প্রেসক্লাবের সদস্যদের চলাচলের জন্য প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এষ্টেটের মোতোয়াল্লীর কাছে অনুমিত চায়।তখন এষ্টেটের মোতোয়াল্লী শরিয়ত উল্লাহ ৩০০/- (তিনশত) টাকার ষ্ট্যাম্পে লিখিত ভাবে ব্যবহারের অনুমিত দেন এবং রাস্তাটি সংস্তার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লিখিত দায়িত্বও দেন।তারপর প্রেসক্লাবের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করেন।জেলা পরিষদ আবেদনের আলোকে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে আরসিসি ঢালাই দিয়ে রাস্তাটি করে দেন।রাস্তাটি সংস্কারের পর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ রাস্তার মুখে একটি গেইট নির্মাণ করে।আর জনগণ পত্রিকা পাওয়ার সুবিধার্থে রাস্তার একপাশে একজন হকারকে দায়িত্ব দেয়া হয় পত্রিকা বিক্রি করতে।কিন্তু ঐ কুচক্রী মহলটি তৎকালীন সরকারের আমলেও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে রাস্তাটি  দখল করতে ব্যর্থ হয়।অপরদিকে গত ৫ আগষ্ট বিগত সরকারের পতন হলে ঐ কুচক্রী মহলটি আবার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ঐদিন রাতেই প্রেসক্লাবের রাস্তার মুখের গেইটটি ভেঙ্গে এবং পত্রিকার ষ্টলটির বাক্সে থাকা ৫০ হাজার টাকার চেক, ৩ হাজার টাকার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা গুলোসহ ষ্টলটি তুলে নিয়ে যায়।এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ টাকা।
এব্যাপারে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমান বলেন,আদালতের মামলার কপি পেয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ জারী করা হয়।