বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, বন্দরের স্থান ইসলামী আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত স্থান। এখানে অনেকগুলো পাঠাগার ছিল, অনেকগুলো সমাজিক প্রতিষ্ঠান ছিল। যেগুলো এই এলাকার যুবকদেরকে মাদকমুক্ত থেকে আল্লাহর কোরআনের শিক্ষায় সামাজিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলার জন্য ভূমিকা পালন করতো।
বন্দর থানা জামায়াতের প্রীতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আমরা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় ছাত্রশিবিরে কাটিয়েছি। ইসলামী ছাত্রশিবির জাহেলিয়াতের অন্ধকারের সেই সমাজ থেকে ধরে এনে জান্নাতের মিছিলে আমাদেরকে যাত্রী করেছিল। ইসলামী ছাত্রশিবির আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াতের মাধ্যমে ক্যাম্পাস গুলোকে উজ্জীবিত করেছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময় ফ্যাসিবাদী শক্তি ঐতিহ্যের জায়গা থেকে বিচ্যুত করার কারণে আমরা নারায়ে তাকবিরের স্লোগান দিতে পারিনি। আমরা প্রিয় ক্যাম্পাসগুলো কোরআনের দাওয়াত দিতে পারিনি। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, গোটা দেশকে এই ফ্যাসিবাদী শক্তি জিম্মি করেছিল। গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদের জাঁতাকলে আমরা নিষ্পেষিত হয়েছি। ফ্যাসিবাদী শক্তি ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। দেশে ফ্যাসিবাদী শক্তি যে বৈষম্য করেছিল ৫ আগস্টের আন্দোলনের মাধ্যমে আবার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। ৫ আগস্টের রক্তভেজা সেই বিপ্লব পরবর্তী সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার সব ধরনের রাস্তা বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা ক্ষমতার পালাবদল চাই না, বাংলাদেশকে একটি সুশাসনের বাংলাদেশ হিসাবে পেতে চায়। একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ পেতে চায়। তাই কোরআন ও হাসিদের আমাদের জীবনকে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করি।
নগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও থানা আমীর মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রীতি সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, নগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস।
প্রীতি সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন থানা নায়েবে আমীর আহসান উল্লাহ, থানা সেক্রেটারি ইকবাল শরীফ, থানা সহ সেক্রেটারি ফিরোজ আহমদ, সাবেক কাউন্সিলর শফিউল আলম, সাবেক ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন নুরী ও আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।