বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না নেতানিয়াহু

যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহু বিশ্বের কোন কোন দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না-এরকম একটি প্রশ্ন উঠেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইহুদিবাদী ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর এই প্রশ্ন উত্থাপিত হলো।

গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ওই ২ ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

বার্তা সংস্থা স্পুটনিকের বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠাকারী রোমের সংবিধান অনুযায়ী ১২৩টি সদস্য দেশ তাদের ভূখণ্ডে নেতানিয়াহুর প্রবেশের পরে ওয়ান্টেড ব্যক্তি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার এবং প্রত্যর্পণসহ আইসিসি’র সিদ্ধান্তগুলোর সাথে সহযোগিতা করতে বাধ্য। এ বিষয়ে ইউরোপীয় দেশ যেমন ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি, ল্যাটিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল, আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ও সেনেগাল এবং এশিয়ার দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার উচিত তাদের দেশে প্রবেশের সাথে সাথেই নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করে তাকেআদালতে হস্তান্তর করা।

অপরদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোমের ওই সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত অনুমোদন না করার কারণে আইসিসি’র সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে বাধ্য নয়। এর বাইরে এমন কিছু দেশ রয়েছে যারা আগে এই বিধিতে স্বাক্ষর করেছিল তবে পরে স্বাক্ষর প্রত্যাহার করে নেয় সেরকম চীন এবং রাশিয়াও ওই সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয়। গ্রেপ্তারি কর্মকাণ্ডের জন্য আইসিসির নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই। এই কাজে তারা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভর করে। আইসিসির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশ, যুক্তরাজ্য, জাপান, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে ফিলিস্তিন ও জর্ডান। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪৪ হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।