শিশু দিবস উপলক্ষে নিজের অফিসিয়াল এক্স পেজে একটি বার্তা প্রকাশ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি। তিনি বলেছেন, এই দিবস গাজা উপত্যকার শিশুদের দুঃখ ও যন্ত্রণা উপলব্ধি করার সুযোগ এনে দিয়েছে।
বাকায়ি তার পোস্টে বলেন: ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলায় গাজা উপত্যকা শিশুদের গোরস্থানে পরিণত হয়েছে। বিগত এক বছরে ১৭ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরাইল; একই সময়ে নিখোঁজ হয়েছে আরো হাজার হাজার শিশু। শত শত শিশুকে এনেস্থেশিয়া ছাড়াই অর্থাৎ অজ্ঞান না করে অপারেশন করতে হয়েছে। গাজার ৩৫ হাজার শিশু পিতৃ-মাতৃহীন হয়ে পড়েছে এবং তাদের কারো কারো পরিবারের বাকি সব সদস্য নিহত হয়েছে। এছাড়া, আরো অসংখ্য শিশু ক্ষুধা ও ব্যাধির সম্মুখীন, তাদের অনেকে শরণার্থী জীবন গ্রহণ করতে বাধ্য হয়ে মৌলিক চাহিদাবিহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন: জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ দূত ফ্রান্সিসকা আলবানিজ যেমনটি বলেছেন, বিগত কয়েক দশক ধরে প্রতি বছর শত শত শিশু-কিশোর ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাতে অপহৃত ও নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে।
ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যা মানবজাতির বিবেককে ক্ষতবিক্ষত করেছে- উল্লেখ করে বাকায়ি বলেন: জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে যে নির্লিপ্ততা প্রদর্শন করেছে তা ছিল কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়ার সমতুল্য এবং এ কারণে ফিলিস্তিনিদের এই ক্ষত শুকানোও সম্ভব হচ্ছে না। আন্তজর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে এখনও সুযোগ আছে; তারা এই অপরাধযজ্ঞের হোতাদের বিচার করার মাধ্যমে তাদের অতীত ভুলের সংশোধন করতে পারে।