বিগত সরকারের আমলে কয়েকজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা রোহিঙ্গা পাচারে সহায়তা করেছিলেন। সেসব কর্মকর্তা পাচারকারীদের অর্থের বিনিময়ে ক্যাম্পে প্রবেশের সুযোগ করে দিতেন। এছাড়া চাঁদাবাজি এবং হয়রানির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস ২০২৫’ রিপোর্টে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এই রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
প্রতিবেদনে ট্রাফিকিং প্রোফাইলে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা ছেলে-মেয়েদের দোকানদার, জেলে, রিকশাচালক এবং গৃহকর্মী হিসেবে শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়। কক্সবাজারের আশেপাশে পর্যটকদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা মেয়েদের শোষণসহ যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কক্সবাজার এবং ভাসানচর দ্বীপের ৩৩টি ক্যাম্পে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব, ক্যাম্পে অপর্যাপ্ত তদারকি, দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ এবং সরকারের প্রতি অবিশ্বাসের কারণে সশস্ত্র গোষ্ঠী, মিলিশিয়া বাহিনী এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো শিশুসহ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জোর করে নিয়োগ দেয়। এছাড়াও শরণার্থীরা জোরপূর্বক নিয়োগসহ পাচারের শিকার হচ্ছেন। পাচারকারীরা রোহিঙ্গাদের পাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শোষণ করে।
পাচারকারীরা রোহিঙ্গা মেয়েদের বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ভারত, মালয়েশিয়া এবং নেপালে যৌন ব্যবসায় নিযুক্ত করার জন্য পাচার করে, কখনও কখনও চাকরি বা বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েও পাচার করে থাকে। বৈধ চাকরির ওপর সরকারি বিধিনিষেধের কারণে অনেক রোহিঙ্গা অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে অভিবাসন করছে, ফলে তাদের পাচারের ঝুঁকি বেড়েছে।