শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীতে চট্টগ্রামের আনোয়ারার শতাধিক পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী কুমারীপূজা। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এ পূজায় ভক্ত অংশ নেন।
মণ্ডপ মুখরিত হয়ে ওঠে ঢাক-ঢোল, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে। পুরোহিতদের মন্ত্রপাঠ ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পূজা। পরে পঞ্চ উপকরণে কুমারী দেবীর আরাধনা করেন ভক্তরা। দুপুর ১২টার দিকে পূজা সম্পন্ন হয়।
এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আনোয়ারা উপজেলায় পূজা মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ ও প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন। এসময় মন্দির পরিদর্শন এবং পূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহবায়ক দিবাকর বড়ুয়া, সদস্য সচিব ও পূজা উদযাপন পরিষদ আনোয়ারা উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাহুল ধর।
পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে থানার পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।
পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পূজায় আগত ভক্তরা যাতে নির্বিঘ্নে উৎসব পালন করতে পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
প্রতি বছর দুর্গাদেবীর মহাঅষ্টমী পূজাশেষে কুমারীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসব।
উপজেলার শারদীয় দুর্গাপূজায় ১১৪টি পূজামন্ডপে সার্বজনীন এবং ১৮৫টি ঘটপূজার আয়োজন হবে, এসব পূজামন্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।