কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে ১৫ জেলেসহ দুটি বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে গেছে রাখাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠি আরাকান আর্মি। তবে মিয়ানমারভিত্তিক গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক (জিএএন) নামে একটি ওয়েবসাইটে পাঁচটি ট্রলারসহ ৪০ বাংলাদেশি জেলেকে আটকের খবর প্রচার করা হচ্ছে।
বুধবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ কায়ুকখালী ঘাটের ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সাগরে মাছ শিকারের সময় বাংলাদেশি জেলেদের ধাওয়া করে আরাকান আর্মি। এ সময় তার ঘাটের আবুইয়া ওরফে ইউনুছ ও দেলোয়ারের মালিকানাধীন দুটি বোট ধরে নিয়ে গেছে। এছাড়া এ ঘাটের কয়েকটি ট্রলারের খোঁজ মিলছে না।
বুধবার সাড়ে ৮টার দিকে মিয়ানমারভিত্তিক গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক (জিএএন) নামে একটি ওয়েবসাইটে পাঁচটি ট্রলারসহ ৪০ বাংলাদেশি জেলেকে আটকের খবর প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, সেখানে তারা তিন দফায় এগুলো আটক করা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, সাগরে মাছ ধরার সময় ট্রলারসহ জেলেদের মিয়ানমারের আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে বলে তিনি শুনেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় জেলে ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে। তবে কয়টি ট্রলার, কতজন জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে– সেটি নিশ্চত হওয়া যায়নি।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯টি ট্রলারসহ ৬৪ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। জেলেদের নিরাপদে ফেরাতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ট্রলার মালিক সমিতি।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘সেন্টমার্টিন সাগর থেকে ট্রলারসহ মাঝিমাল্লা ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। এ নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
ট্রলার মালিক সমিতি ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদ সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩১৮ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে বিজিবির সহায়তায় প্রায় ২০০ জনকে ফেরত আনা হলেও বাকি জেলেরা এখনো তাদের হেফাজতে রয়েছে। সম্প্রতি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আরও ৬৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।