প্রায় তিন যুগ পর আবারো শুরু হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১২ অক্টোবর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
চাকসু প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছরের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালে। এরপর টানা ৩৪ বছর শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত ছিলেন তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ থেকে। এ কারণেই এবারের নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, প্রত্যাশা ও উত্তেজনা বহুগুণে বেড়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, চাকসু শুধু একটি নির্বাচনী আয়োজন নয়; বরং তাদের অধিকার আদায়ের মূল প্ল্যাটফর্ম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধান থেকে শুরু করে ন্যায্য দাবি আদায়ে চাকসু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা জানান, সুষ্ঠু ছাত্র রাজনীতি ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দরকার গণতান্ত্রিক চর্চা ও সঠিক নেতৃত্ব। তারা মনে করেন, প্রশাসনের লেজুড়বৃত্তি নয়— শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করাই হবে চাকসুর প্রকৃত কাজ।
চবির এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা এমন নেতৃত্ব চাই যারা চোখে চোখ রেখে শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলবে। প্রশাসনের স্বার্থ নয়, বরং শিক্ষার্থীদের মতামতই চাকসুর সিদ্ধান্তে প্রতিফলিত হবে।’
দীর্ঘ সময় পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই নানা সমীকরণ কষতে শুরু করেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। ক্যাম্পাসে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী আমেজ।