গর্ব করার মতো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলা সময়ের দাবি, এজন্য সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন লায়ন মো. আসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন বড় হতে হবে, তবে সেই স্বপ্ন পূরণে প্রয়োজন দৃঢ় মনোভাব, কঠোর পরিশ্রম ও সদিচ্ছা। পারিবারিক বা সামাজিক অসচ্ছলতা কখনো মেধার অগ্রযাত্রাকে বাধা দিতে পারে না।’
শনিবার (৩০ আগস্ট) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আলহাজ্ব গোলাম হোসেন স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। চার পর্বে সাজানো এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বৃত্তির পৃষ্ঠপোষক লায়ন মো. আসলাম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দুটি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্বে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় হয় পাঁচ মিশালী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তৃতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব’ বিষয়ের ওপর শিক্ষা সেমিনার ও আলোচনা সভা। শেষ পর্বে গুণীজন সংবর্ধনার অংশ হিসেবে মৌলভীপাড়া দক্ষিণ মহাদেবপুরের প্রখ্যাত সমাজসেবক মরহুম মিজানুল হক চৌধুরীর পরিবারকে সম্মাননা জানানো হয়।
জেএএম সংস্থা পরিচালিত এ বৃত্তি পরীক্ষায় মোট ৯৯২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৫ জন মেধায়, ১২ জন ট্যালেন্টপুলে এবং ১২ জন সাধারণ গ্রেডে— মোট ২৯ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি অর্জন করেছে।
সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নজির আহমদের সভাপতিত্বে এবং বাশিস চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি’র ভিসি অধ্যাপক ড. মো. ওবাইদুল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাশিস চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম টিপু।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডা. কমল কদর, জয়নাল আবেদীন দুলাল, জাকির হোসেন, জহুরুল আলম জহুর, ফজলুল করিম চৌধুরী ও বখতিয়ার উদ্দিন প্রমুখ।