বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইপিজেড, সিলেট ও ঢাকা বিমানবন্দরসহ সারাদেশে অগ্নিসংযোগ ও চোরাগুপ্তা হামলার কারণে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক তৎপরতা স্থগিত থাকলেও বিভিন্ন নামে-বেনামে তারা সক্রিয় রয়েছে এবং তাদের শরিকদের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মপরিষদ ও ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারিয়েটদের সমন্বয় বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় পার্টির কিছু নেতা টকশোতে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিতে চাইছে। অপরাধী গ্যাং কালচার, মাদক, ছিনতাই, খুন-খারাবির মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টের ষড়যন্ত্র চলছে। চট্টগ্রামের বাকলিয়া এক্সেস রোড, চালিতাতলি ও জেলা পরিষদ মার্কেট এলাকায় সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড ও অস্ত্র মহড়ায় নগরবাসী উদ্বিগ্ন।
তিনি অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান আরও জোরদারের তাগিদ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে আটঘাট বেঁধে ষড়যন্ত্র চলছে। এক স্বৈরাচারী সরকারের সাবেক মন্ত্রীর বাসায় অভিযান পরিচালনা এবং সিএমপির কঠোর পদক্ষেপে মানুষ কিছুটা আশাবাদী হলেও এখনো স্বস্তি ফিরে আসেনি।
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইমুনুল ইসলাম মামুন, চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারিজ মোহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, মহানগরী সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ফজলুল হক, ডা. সিদ্দিকুর রহমান, এস এম লুৎফর রহমানসহ জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে সংগঠনের সার্বিক কার্যক্রম, সাংগঠনিক সমন্বয়, প্রচার, গণসংযোগ ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
