লোহাগাড়ার উত্তর কলাউজানস্থ তহশিলদার পাড়ার পিউ দাশের কলেজ জীবন এখন থমকে গেছে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার কারণে। জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী পিউ দাশ ১৯৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। দৈহিকভাবে ছোট, স্পষ্টভাবে কথা বলতে অক্ষম এবং হালকা সাহায্য বা লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটতে সক্ষম হলেও লেখাপড়ার প্রতি তাঁর আগ্রহ অত্যন্ত প্রবল ছিল।
শৈশবকাল থেকে মা কৃষ্ণা দাশের সহায়তায় পিউ দাশ প্রাথমিক শিক্ষায় সাফল্য অর্জন করেন। পরবর্তীতে সুখছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি ২০১৮ সালে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৩.১১ পেয়ে কৃতকার্য হন। এরপর এম.এ. মোতালেব কলেজে ভর্তি হয়ে শিক্ষাজীবন চালানোর জন্য নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে শুরু করেন।
কিন্তু ২০২০ সালে সাতকানিয়া উপজেলাধীন আরকান সড়কে এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ায় পিউ দাশ পরবর্তী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। মা কৃষ্ণা দাশ বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় তার কলেজ জীবনের রঙিন স্বপ্ন কেড়ে নেওয়া হলো। এখন সে শুধু পরিবারের স্মৃতি।”
তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধী মেয়ের প্রতি স্নেহ ও যত্ন কখনো কমেনি। সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতার মাধ্যমে পরিবার কিছুটা অর্থনৈতিক সহায়তা পাচ্ছে। দুর্ঘটনার পরও পরিবার মায়া-মমতা দিয়ে পিউ দাশকে লালন-পালন করছেন।