২৯৯ নং রাঙামাটি সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ানের নেতৃত্বে জুরাছড়ি উপজেলার প্রধান বাজার যক্ষাবাজারের সাপ্তাহিক হাটে ব্যাপক গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ, পথসভা ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সাপ্তাহিক হাটে এই পথসভা ও গণসংযোগ চালানো হয়।
সাপ্তাহিক হাটের দিনে বাজারে মানুষের ভিড় উপচে পড়ার কারণে বিএনপির এই কর্মসূচি রূপ নেয় এক অনন্য গণজাগরণের। পাহাড়ি গ্রামগুলো থেকে আসা ত্রিপুরা, চাকমা, মারমা ও তঞ্চংগ্যা সম্প্রদায়ের মানুষসহ দোকানদার, কৃষক, ফুটপাত ব্যবসায়ী, নারী ও তরুণরা উপস্থিত হয়ে দীপেন দেওয়ানের ৩১ দফা কর্মসূচি শোনেন এবং তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
হাটের এক কোণে হাতে ধানের শীষের লিফলেট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধ চাকমা কৃষক বলেন, আমরা শুধু উন্নয়ন চাই, স্বাস্থ্য–শিক্ষা ভালো হোক। কে আমাদের কথা শুনবে—এই আশা নিয়ে এসেছি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি অনিল বরণ চাকমা এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদন বিকাশ চাকমা এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা বিএনপির সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টো, সহ সভাপতি শুশোভন দেওয়ান আগা, সহ সভাপতি বাবুল আলী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী বাবর, যুগ্ম সম্পাদক দেবোজ্যোতি চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্বাশত চাকমা রিংকু, জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পরেশ খীসা, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শিবলী শান্তি চাকমা, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মো. বাচ্চু মিয়া, জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি মানস মুকুর চাকমা, রাঙামাটি সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রনেল দেওয়ান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক পটন চাকমাসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
পথসভায় ডা. পরেশ খীসা চাকমা ভাষায় বক্তব্য দিলে পুরো বাজার নীরব হয়ে যায়। তিনি বলেন, বিএনপি রাঙামাটিতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে স্বচ্ছ নিয়োগ নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু গত ১৭ বছরের শাসনামলে এই দুই খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতাল আছে কিন্তু ডাক্তার নেই, স্কুল আছে কিন্তু শিক্ষক নেই। তাই উন্নয়ন ফিরিয়ে আনতে দীপেন দেওয়ানকে ধানের শীষে ভোট দিন।
দীপেন দেওয়ান সভায় অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা বলে বলেন, পাহাড়ের মানুষ শান্তিপ্রিয় এবং পরিশ্রমী। কিন্তু উন্নয়ন সুবিধা তাদের কাছে পৌঁছায় না। ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা পাহাড়ি ও বাঙালি সব সম্প্রদায়ের সমঅধিকার নিশ্চিত করব। প্রতিটি দুর্গম গ্রামকে উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসব। রাঙামাটির প্রতিটি উপজেলায় চিকিৎসা, শিক্ষা, যোগাযোগ ও জীবনমান উন্নয়নে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকবে। আপনাদের ভোটই এই পরিবর্তনের ভিত্তি।
পথসভা শেষে উপজেলা সদরে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও গুণীজনদের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় অংশ নেন দীপেন দেওয়ান।