চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা নতুন করে আট একর জায়গা যুক্ত করে প্রায় দ্বিগুণ পরিসরে সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে। ফয়’স লেক এলাকার টিলা, জঙ্গল ও জলাধারসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে চিড়িয়াখানার আয়তন ১৮ একরে উন্নীত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নির্মাণ হচ্ছে দেশের অন্যতম আধুনিক ‘অ্যাভিয়ারি’, হাতি-জিরাফ-চিতার নতুন আবাসস্থল এবং একটি প্রাণী জাদুঘর।
চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, নতুন এলাকাটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যে ভরপুর, যা দর্শনার্থীদের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। তিনি জানান, পাহাড়ি টিলার মাঝ দিয়ে হবে ২০০ ফুট দীর্ঘ ও ৩০ ফুট উচ্চতার অ্যাভিয়ারি, যার ভেতর দিয়েই দর্শনার্থীরা চলাচল করতে পারবেন।
এছাড়া বর্তমান কার্যালয় ভবনের নিচ তলায় স্থাপন করা হবে প্রাণী জাদুঘর। যেখানে থাকবে সংরক্ষিত কঙ্কাল, প্রাণীর চামড়া ও প্রদর্শনী সামগ্রী। উপরতলায় তৈরি হবে স্যুভেনিয়ার শপ।
চিড়িয়াখানার পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অংশে নতুন দুইটি সড়ক নির্মাণসহ মোট কয়েক কোটি টাকার কাজ চলছে, যার অর্থায়ন হবে চিড়িয়াখানার নিজস্ব তহবিল থেকে। শুভ জানান, ২০২৩ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় চিড়িয়াখানার কিছু অংশ দখল ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায় সংস্কার কাজে বাধা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় উন্নয়ন দ্রুত এগোচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৬৮ প্রজাতির ৫২০টি প্রাণী রয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি সাদা বাঘসহ ১৭টি বাঘ ও ৪৫ প্রজাতির পাখি উল্লেখযোগ্য। সম্প্রসারণ শেষে চিড়িয়াখানাটি নগরবাসীর অন্যতম সমৃদ্ধ বিনোদন ও শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে আরও আকর্ষণীয় রূপে হাজির হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।