রাঙামাটির শিক্ষা খাতের সংকট নিরসন ও সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে শিক্ষক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় রাঙামাটি শহরে তার নিজ বাসভবন প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মাইনুদ্দিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শিবলী শান্তি চাকমার সঞ্চালনায় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতারা অংশ নেন। তারা শিক্ষক সংকট, পদোন্নতির অসামঞ্জস্য, দুর্গম এলাকায় শিক্ষক আবাসন, ডিজিটাল ল্যাব, লাইব্রেরি, বিএড–এমএড কলেজ এবং আলাদা শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠাসহ নানা দাবি উপস্থাপন করেন।
সভায় বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ইকরামুল ইসলাম বেলাল৷ নুরুল হুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়সিম বড়ুয়া, জীবতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়সাল আহমেদ, রাঙামাটি শহর, বরকল, বাঘাইছড়ি, কাউখালী, কাপ্তাইসহ বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষকবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান বলেন, পার্বত্য রাঙামাটির উন্নয়নের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি হলো শিক্ষা। অথচ এই জেলার মাধ্যমিক শিক্ষকরা শিক্ষার প্রধান বাহক হয়েও সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। শিক্ষকরা যদি সম্মান না পান, তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ কখনোই আলোকিত হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, আমি আদালতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছি, সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছি। এখন জনগণের ভোটে সুযোগ পেলে আমি শপথ করে বলছি—শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করব। রাঙামাটি জেলা থেকে শুরু করে পার্বত্য তিন জেলায় আলাদা শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা, বিএড–এমএড কলেজ স্থাপন, প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা বিস্তারে বাস্তব উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যদি আমাকে আপনারা একজন অভিভাবক হিসেবে বিবেচনা করেন, তাহলে রাঙামাটির শিক্ষা কাঠামোকে বদলে দিতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী ও সাবেক শিক্ষক মিসেস মৈত্রী চাকমা, যিনি শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।