শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

বান্দরবানের নাফাখুমে গিয়ে পর্যটক নিখোঁজ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৩

বান্দরবানে থানচি উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র নাফাখুম জলপ্রপাতে ‘গোসল করতে নেমে’ এক পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ। শুক্রবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান থানচি থানা ওসি নাছির উদ্দিন।

নিখোঁজ ইকবাল হোসেন (২৪) ঢাকা জেলার ডেমরা থানার সারুলিয়া ইউনিয়নের রসুলনগর গ্রামের বাসিন্দা মফিজুর ইসলামের ছেলে।

থানচি গাইড সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুন রশিদ বলেন, ‘শুনেছি ঢাকার ডেমরা এলাকা থেকে ১৭ সদস্যের একটি পর্যটক দল থানচি ভ্রমণে আসে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই তারা নাফাখুম এলাকায় যান। তাদের মধ্যে ইকবাল হোসেন নামে একজন বিকালে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। দুর্গম এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা জানাতে পারেননি দলের সদস্যরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটন তথ্য কেন্দ্রে সকল পর্যটকদের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তারা কোথাও নিবন্ধন করেনি। গাইডও নিয়ে যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, থানচি-আলীকদমের ডিম পাহাড় হয়ে তিন্দু থেকে নাফাখুমে গিয়ে থাকতে পারে তারা।’

ওসি নাছির উদ্দিন বলেন, ‘শনিবার দুপুরের দিকে তাদের দলের কয়েকজন সদস্য থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে আসে। তাদের ভাষ্য, শুক্রবার থানচির ২১ কিলো এলাকা দিয়ে গাইড ছাড়া এবং নিবন্ধন না করে ১৭ জনের একটা দল নাফাখুমে চলে যায়। সেখানে গোসল করতে নেমে একজন নিখোঁজ হয়ে যায়। ঘটনার জানার পর সেখানে বিজিবি একটা দল গেছে। ফায়ার সার্ভিসকেও জানানো হয়েছে। এখানকার ফায়ার সার্ভিসের কোনো ডুবুরি নাই। চট্টগ্রামে থেকে নিয়ে আসতে হয়। সেখানে খবর দেওয়া হয়েছে।’

থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, ‘নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ ও পর্যটকদের প্রবেশে এখনও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুধুমাত্র তিন্দু পর্যন্ত যাওয়া যায়। তবুও দলটি প্রশাসনকে অবহিত না করেই সেখানে প্রবেশ করেছে। নিখোঁজ ব্যক্তিকে বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের সমন্বয়ে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।’

বান্দারবানের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ নাফাখুম জলপ্রপাতটি থানচির রেমাক্রি ইউনিয়নে পড়েছে। থানচি সদর থেকে প্রথমে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে দুই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে রেমাক্রি বাজার যেতে হয়। এরপর সেখান থেকে আবার দুই ঘণ্টা পায়ে হাঁটার পরই দেখা মেলে নাফাখুম জলপ্রপাতের।

২০২২ সালের শেষের দিকে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ইস্যুকে কেন্দ্র করে এই পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, যা এখনও বহাল রয়েছে।

ভিডিও