চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ কাইছের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ও কাশিয়াইশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম (৬২) এবং তার সহযোগী মো. সোহেল ওরফে ট্যাটু সাইফুলের (২৮) নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে কাইছের ছোট ভাই মো. সুমন বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ কাইছ গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় ঘোষিত “৩১ দফার রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার রূপরেখা” প্রচারের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম শহর থেকে তার ব্যক্তিগত হার্ড জিপ গাড়িতে করে পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা বাজারে যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যে জিরি ইউনিয়নের খলিল মীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে হেলমেট পরিহিত একদল সন্ত্রাসী তার গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশাযোগে আসা হামলাকারীরা কাইছের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, গুলি চালানো ও ভাঙচুর করে।
হামলায় বিএনপি নেতা কাইছসহ মো. আলী আহম্মদ, ওহিদুল আলম ও আবদুল করিম আহত হন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, হামলাকারীরা রামদা, লোহার রড, রাইফেল, রিভলবার ও কাটা বন্দুক ব্যবহার করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিএনপি নেতা কাইছকে হত্যা করা এবং এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম ও সহযোগী সোহেলের বিরুদ্ধে পটিয়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
আহত বিএনপি নেতা মোহাম্মদ কাইছ বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে বাধা দিতে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। এবার পরিকল্পিতভাবে গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে আমাদের আহত করা হয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাশিয়াইশ এলাকায় আবুল কাশেমের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী চক্র প্রভাব বিস্তার করে আসছে। এ ঘটনায় এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘বিএনপি নেতা মোহাম্মদ কাইছের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’