শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

লোহাগাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় ভরাডুবি, মাদরাসায় উজ্জ্বল ফলাফল

লোহাগাড়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৮

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক। উপজেলার তিনটি কলেজে পাসের হার নেমে এসেছে ১২ থেকে ২১ শতাংশে।

জানা গেছে, চুনতি সরকারি মহিলা কলেজে ৪৮৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ১০৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। পাসের হার ২১ শতাংশ। আলহাজ মোস্তফিজুর রহমান কলেজে ১০৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৯ জন—পাসের হার মাত্র ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে বার আউলিয়া কলেজে ২৪৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৮ জন, পাসের হার ১২ শতাংশ।

অপরদিকে মাদরাসাগুলোয় ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। আলীম পরীক্ষায় উপজেলার বেশিরভাগ মাদরাসায় পাসের হার ৯০ শতাংশের উপরে। আমিরাবাদ সুফিয়া আলিয়া মাদরাসায় ৫৪ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে, ৭ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসায় পাসের হার ৯৬ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ জন।

চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার পরীক্ষার্থী ৮৪ জন। তন্মধ্যে পাস করেছে ৮১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। শতকরা পাসের হার ৯৬ শতাংশ। চুনতি ফাতেমা বতুল ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষার্থী ৩৩ জন। পাস করেছে ৩১ জন। তন্মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। পাসের হার শতকরা ৯৪ শতাংশ। বড়হাতিয়া এশাতুল উলুম মাদারাসার পরীক্ষার্থী ৩৭ জন। তন্মধ্যে পাস করেছে ৩৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। পাশের হার শতকরা ৯৪ শতাংশ। কলাউজান শাহ রশিদিয়া ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষার্থী ৩০ জন। পাস করেছে ২৮ জন। তন্মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। পাশের হার শতকরা ৯৩ শতাংশ। লোহাগাড়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষার্থী ৩৬ জন। তন্মধ্যে পাস করেছে ৩৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাসের হার শতকরা ৯২ শতাংশ। দক্ষিণ সুখছড়ি খালেকিয়া ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষার্থী ৭১ জন। পাস করেছে ৬৫ জন। তন্মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। পাসের হার শতকরা ৯২ শতাংশ।

পদুয়া দারুচ্ছুন্নাহ কামিল মাদরাসার পরীক্ষার্থী ৩৯ জন। পাস করেছে ৩৩ জন। তন্মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। পাসের হার শতকরা ৮৫ শতাংশ। পুটিবিলা হামেদিয়া ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষার্থী ৩৭ জন । পাস করেছে ৩১ জন। পাসের হার শতকরা ৮৪ শতাংশ। কলাউজান দারুচ্ছুন্নাহ আলিম মাদরাসার পরীক্ষার্থী ২৭ জন। তন্মধ্যে পাস করেছে ২০ জন। পাসের হার শতকরা ৭৪ শতাংশ।

সামগ্রিকভাবে দেখা যাচ্ছে, এ বছর লোহাগাড়ার কলেজগুলোতে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও মাদরাসাগুলো তাদের ধারাবাহিক ভালো ফলাফল ধরে রাখতে পেরেছে।

ভিডিও