চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের খরস্রোতা হাঙ্গর খাল একদিকে এলাকার কৃষিজ উৎপাদনের আশীর্বাদ, অন্যদিকে বর্ষায় বয়ে আনে দুর্ভোগ ও ভাঙনের অভিশাপ। খালের ভাঙনে বিধ্বস্ত হয়েছে একাধিক স্থানের ভেড়িবাঁধ, যা নিয়ে কূলবাসীরা এখন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাঙ্গর খালের পাড়বর্তী বসতবাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির মুখে। বিশেষ করে উত্তর পদুয়ার সওদাগরপাড়া সংলগ্ন ভেড়িবাঁধ ও যাতায়াত সড়ক প্রায় বিলীন হয়ে গেছে খালের গর্ভে। ওই সড়কের বৃহদাংশ ধসে পড়ায় এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়ে কাঠের তক্তা বসিয়ে অস্থায়ীভাবে চলাচল করছেন। এলাকাটিতে অন্তত ৩০ থেকে ৪০টি পরিবার এখন সরাসরি ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জোবাইর জানান, ‘খালের ভাঙনে ভেড়িবাঁধ ও যাতায়াত সড়কের বড় অংশ খালের গর্ভে মিলিয়ে গেছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে শুধু পদুয়া নয়, পার্শ্ববর্তী সাতকানিয়া উপজেলার কিছু অংশও বন্যায় প্লাবিত হবে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আমান উল্লাহ বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। জনগণের সর্বনাশ হওয়ার আগেই সরকারের উচিত জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া।’
পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী জানান, বিষয়টি পরিষদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দ্রুত সংস্কার না করলে বিশাল এলাকার জনজীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করতে হবে।’
এলাকাবাসীর দাবি— হাঙ্গর খালের ভাঙন প্রতিরোধে সরকার যদি দ্রুত স্থায়ী সংস্কার উদ্যোগ নেয়, তাহলে শুধু কূলবাসীই নয়, সরকারের বিপুল অর্থ অপচয়ও রোধ হবে।