চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় কর্ণফুলী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ বিপর্যয় ও স্থানীয় জনজীবনের ক্ষতির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার ইছাখালী চত্বরে রাঙ্গুনিয়া সচেতন ছাত্রসমাজ ও সর্বস্তরের জনসাধারণের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল শেষে আয়োজকরা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কামরুল হাসানের কাছে চার দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কাপ্তাই, সরফভাটা, বেতাগী ও শিলক ইউনিয়নের কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন তীরবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। এতে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তারা বলেন, বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত প্রায় ২০০ ফুট লম্বা ড্রেজার মেশিনের বিকট শব্দে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। শব্দ ও ধুলাবালির কারণে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, নদীর পাড় ভেঙে বসতভিটা ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বক্তারা আরও জানান, এর আগেও গত কয়েক মাসে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে একাধিকবার মানববন্ধন, র্যালি, সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা কর্ণফুলী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন।দাবিসমূহ: ১.কর্ণফুলী নদীতে চলমান সব ধরনের অবৈধ বালু উত্তোলন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। ২.তিন দিনের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে নদী রক্ষা কমিটি গঠন করতে হবে। ৩.নির্ধারিত আইন অনুযায়ী স্থলভাগে বালুমহাল স্থাপন ও টেন্ডার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। ৪.নদীর তীরবর্তী হুমকির মুখে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষায় নিরাপত্তা বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবেন বলে জানান সচেতন ছাত্রসমাজ ও সর্বস্তরের জনসাধারণ।