দুর্গাপূজার জন্য খাগড়াছড়িতে স্থগিতের কয়েক ঘণ্টা পর আবারও লাগাতার অবরোধের ডাক দিয়েছে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের কথা বিবেচনায় রেখে অবরোধ স্থগিতের ঘোষণা দিলেও আজ (রোববার) আবারও খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি স্কুলছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছে তারা। এ অবস্থায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের কথা বিবেচনায় রেখে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত অবরোধ স্থগিতের ঘোষণা দেয় পাহাড়ি সংগঠনগুলো। কিন্তু এর পরপরই পাহাড়িদের মাঝে অসন্তোষ তৈরি হয়, টানা কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানায় বিভিন্ন দল মত ও পাহাড়ি সংগঠনের নেতারা। এরই প্রেক্ষিতে রাত ৩টার দিকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আবারও লাগাতার কর্মসূচি ও অবরোধ ডাক দেন তারা।
আজ রবিবার সকাল থেকে অবরোধের সমর্থনে পিকেটিং হয়েছে বেশ কিছু দুর্গম উপজেলায়। খাগড়াছড়ি সদরসহ পুরো জেলার পরিস্থিতি এখন থমথমে। টানা এ ধরনের কর্মসূচি চললে যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে গতকাল পাহাড়ি বাঙালি সংঘর্ষের পর খাগড়াছড়ি পৌরসভা সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি ও সেনাবাহিনী। অবরোধের কারণে বন্ধ আছে দোকানপাট, স্কুল কলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ যানবাহন চলাচলও বন্ধ।
জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খোন্দকার জানিয়েছেন, স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে এবং দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক কাজ করছে।
উল্লেখ্য, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় শয়ন শীল নামে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।