ইসলামী ব্যাংকের ‘বিশেষ দক্ষতা মূল্যায়ন’ পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। তাদের অভিযোগ, এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগরের জামালখান প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তারা। এতে চট্টগ্রামের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে নানা স্লোগান দেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইস্কান্দার সুজন, এস এম এমদাদ হোসাইন, মোহাম্মদ ইকবাল, দিলরুবা আক্তার, শারমিন আক্তার, নাসরিন জান্নাত প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘বিশেষ দক্ষতা মূল্যায়ন পরীক্ষার অজুহাতে কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এক মাস আগে এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে রিট করলে হাইকোর্ট পরীক্ষা স্থগিত করে নিয়মিত প্রমোশন পরীক্ষার নির্দেশ দেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।’
তাদের অভিযোগ, হাইকোর্টের সেই আদেশ উপেক্ষা করে ২২ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা নেওয়ার নোটিশ দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করার বিষয়টিকেও কর্মকর্তারা বৈষম্যমূলক ও বেআইনি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বক্তারা বলেন, ‘আমরা সরকারি নিয়ম মেনে যোগদান করেছি। যোগদানের পর পদোন্নতি পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়েছি। এখন নতুন করে প্রহসনের মাধ্যমে চাকরি হারানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তাই সারা দেশের কোনো কর্মকর্তা এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন না।’
মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক। মানববন্ধন শেষে ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তারা তাঁর হাতে স্মারকলিপি জমা দেন। তিনি কর্মকর্তাদের অভিযোগ শুনে বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন।