চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের নাফারটিলা বাজারসংলগ্ন রাজঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪৫ জন। ৫টি শ্রেণিতে বিভক্ত এই শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলছে ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির কার্যক্রম।
বিদ্যালয়ে দুটি ভবনে ছয়টি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে একটি অফিসকক্ষ এবং পাঁচটি ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা, তবে নেই কোনো কর্মচারী। বর্তমানে প্রথম শ্রেণীতে ১০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ১১ জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ৭ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ১০ জন এবং পঞ্চম শ্রেণীতে ৭ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ে দেখা গেছে, ৫ম শ্রেণীতে মাত্র ৬ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করছে— এর মধ্যে ৪র্থ শ্রেণীর ৪ জন ও ৫ম শ্রেণীর ২ জন। একই সময়ে তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাসেও ছিল হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে তারা সন্তুষ্ট নন। এ কারণে পার্শ্ববর্তী এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেকেই নূরানী মাদরাসা বা নাফারটিলা বাজারসংলগ্ন অন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘আমি কয়েক মাস আগে এখানে যোগদান করেছি। কিন্তু স্থানীয়দের আন্তরিকতার অভাব দেখে হতাশ হয়েছি। আশপাশে নূরানী মাদরাসা ও অন্যান্য বিদ্যালয় থাকায় শিক্ষার্থীরা সেদিকেই ঝুঁকছে। তবুও ভর্তি বাড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনার এডহক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, ‘অতি প্রাচীনকালের এই বিদ্যালয়ের এমন শোচনীয় অবস্থা দেখে আমি ব্যথিত। শিক্ষকদের হোম ভিজিট করে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছি। উপস্থিতি বাড়াতে আমাদের আন্তরিকতার কমতি নেই। তবে এ জন্য স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা জরুরি।’