বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর ছবুর ও ২নং ওয়ার্ড মেম্বার জসিম উদ্দিন- এই দুই ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে খাদ্যশস্য আত্মসাৎ, গরিব অসহায়দের চাল বিতরণে অনিয়ম ও টাকার বিনিময়ে ভূমিহীনদের ঘর রোহিঙ্গাদের দেওয়াসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সুয়ালক এলাকার শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ নেয়।
এদিকে মানববন্ধনে আসার পথে ভুক্তভোগীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী সিংমাইনু তঞ্চঙ্গ্যা, মো. বাহার, সিরাজুল ইসলাম, মো. আরিফুল ইসলাম ও ইসলাম খাতুন প্রমুখ।
পবায় ভণ্ড পীর-ফকিরদের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে মানববন্ধনপবায় ভণ্ড পীর-ফকিরদের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
এ সময় ভুক্তভোগী সিংমাইনু তঞ্চঙ্গ্যা অভিযোগ করেন, প্রকৃত গরিবদের সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে ধনীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে সুবিধা বণ্টন করেছে এই দুই ইউপি সদস্য। তারা সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে নাম থাকা সত্ত্বেও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করেছেন। এছাড়াও জনপ্রতিনিধির প্রভাব কাটিয়ে স্থানীয়ভাবে অবৈধ রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে স্থানীয়দের বঞ্চিত করছে। সাজানো নির্বাচনে ভোট চুরি করে জনপ্রতিনিধি হওয়া এসব দুর্নীতিবাজদের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
প্রতিবন্ধী নুরুল কবির অভিযোগ করেন, আমি সরকারের কাছ থেকে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছিলাম। কিন্তু ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর ছবুর ঘরটি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমার কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি ২০ হাজার টাকা দেওয়ার পর ঘরের কাজ শুরু হলেও বাকি টাকা দিতে না পারায় অর্ধেকে কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
বন কর্মকর্তার ১৭ স্ত্রী, শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনবন কর্মকর্তার ১৭ স্ত্রী, শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
মানববন্ধনে কাইচতলী ২ নম্বর ওয়ার্ডের আরেক ভুক্তভোগী ইসলাম খাতুন বলেন, আমার নামে একটি ঘর বরাদ্দ হয়। কিন্তু ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার জসিম উদ্দিন ঘরের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় আজও ঘরটি বুঝে পাইনি।
ভুক্তভোগী মো. সিরাজ অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরিব মানুষ হলেও কখনো সরকারি কোনো সুবিধা পাইনি বরং সব সুবিধা এলাকার ধনী ও প্রভাবশালীদের দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দুর্নীতিবাজ এই দুই জনপ্রতিনিধি ১৭ বছর আওয়ামী লীগের দালালি করে জুলুম-নির্যাতন করলেও হঠাৎ করেই বিএনপির একটি শ্রেণির সঙ্গে আঁতাত করে নতুন করে ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা।