চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বানিয়ারা পাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তাহাসান (৩১) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহত যুবক চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ৫ টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন শমসের পাড়া মেডিকেল কলেজের অদূরে চান্দগাঁও বানিয়ারা পাড়ায় রাস্তার পাশেই এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপি চান্দগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) মো. সবেদ আলী। তিনি জানান, ‘ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।’
স্থানীয়রা জানান, গুলিতে নিহত তাহসান চান্দগাঁও থানার মাইজপাড়া হাজিরপুল এলাকার মোহাম্মদ মুছার ছেলে।
ঘটনা সূত্রে আরও জানা গেছে, চান্দগাঁও এলাকার শমসের পাড়া মেডিকেল কলেজ থেকে বানিয়ারা পাড়া পর্যন্ত দুটি গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার ছিলো। আশপাশের ভাসমান দোকান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজিরও নানা অভিযোগ ছিলো দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে কয়েকদিন আগেও এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মহড়াও দিয়েছেন বলে সাধারণ লোকজনের অভিযোগ।
২১ অক্টোবর বিকেলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সংঘর্ষের ইঙ্গিত দিয়ে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেন। এতে এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেন ছোট সাজ্জাদ আর অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে দেন সরোয়ার। আবার সরোয়ার গ্রুপের পক্ষে ঢাকাইয়া আকবরও মাঠে নামেন বলে লোকজন জানান।
এতে আধিপত্য বিস্তারে বিকেলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ লাগলে প্রকাশ্যে গুলি করে তাহসান নামে ছাত্রলীগের কর্মীকে খুন করেন বলে জানা যায়। দাবি করা হচ্ছে সরোয়ার গ্রুপের গুলিতেই তাহসান নিহত হয়। তবে সত্যতা নিশ্চিতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান।
অপর একটি সূত্র জানায়, মূলত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে ৩৬ টি টেম্পুর চাঁদাবাজি নিয়ে। এসব টেম্পু গাড়ি প্রতিদিন চান্দগাঁও হাজীরপুর থেকে বহদ্দারহাট মসজিদ পর্যন্ত চলাচল করে থাকে। এসব টেম্পু থেকে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে একটি গ্রুপ। সরকার পতনের আগে যে গ্রুপ টাকা নিত তারা পরিবেশ পরিস্থিতিতে হঠাৎ আড়ালে চলে যায়। বর্তমানে ভাগ বাটোয়ারায় দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার এ খুনের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সিএমপি চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘লাশ চমেকের মর্গে আছে। তাহসানের খুনের ঘটনায় পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে।’