নেত্রকোনায় আবারও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ভোর থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এতে বন্যার পানি বেড়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
গত রবিবার ও সোমবার বৃষ্টি না হওয়ায় উজানের পাহাড়ি ঢল বন্ধ থাকায় কমতে শুরু করেছিল জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি। কিন্তু আজ ভোরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
ইতোমধ্যে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে জেলার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা, বারহাট্টা ও সদর উপজেলার শতাধিক গ্রাম। প্লাবিত হয়েছে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তলিয়ে গেছে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান। ভেসে গেছে দুই শতাধিক ফিশারি ও পুকুরের মাছ। বন্ধ রয়েছে বন্যাকবলিত এলাকার ১৮৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া বাজার এলাকায় মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সকাল ১০টার দিকে কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক সাওয়ার জাহান জানান, উব্দাখালীর পানি কলমাকান্দা ডাকবাংলো পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৬.৫৫ মিটার। তবে সোমেশ্বরী ও কংস নদের পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শুকনাকুড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, “দুই দিন বৃষ্টি ছিল না। ফলে পানিও কিছুটা কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু আজ সকাল থেকে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টি যদি না কমে, তাহলে বন্যা পরিস্থিতি আবারও খারাপ হবে। আমাদেরও বিপদ বাড়বে।”
জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, “মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি বাড়ছে। পূর্বধলার জারিয়া এলাকা কংস নদের তীরে থাকা বেড়িবাঁধটি দুই স্থানে ভেঙে গেছে। এরপর থেকে পূর্বধলা, সদর ও বারহাট্টার বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। ফসলি জমিরও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তবে বন্যা মোকাবিলায় আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
সম্পাদক ও প্রকাশক : সাইফুল আলম সিদ্দিকী
সম্পাদকীয় ও বার্তা : ৩২১, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক , দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম।
ফোন : +৮৮০২৩৩৩৫৪৪৫৮, মোবাইল : +৮৮০১৮৪২-৭৯৭৩১৫
Copyright © 2023 দৈনিক পূর্বতারা. All rights reserved.