সন্দ্বীপের ‘দুঃখ’ ঘোচাতে সীতাকুণ্ডের ফেরি ঘাটে বিশেষজ্ঞ দল

সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাট এলাকা পরিদর্শনে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কতৃর্পক্ষ।চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথ না থাকায় সন্দ্বীপবাসীকে নির্ভর করতে হয় নৌরুটে। কিন্তু অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত প্রায় সীতাকুণ্ডের ফেরিঘাট। প্রায়ই পানিতে তলিয়ে থাকে ঘাটটি। সন্দ্বীপবাসীর সে দুঃখ ঘোচাতে এবার সীতাকুণ্ড-সন্দ্বীপ রুটে নতুন ফেরিঘাট স্থাপনের সাইট সিলেকশনের জন্য কুমিরা ঘাট পরিদর্শন করেছে (বিআইডব্লিউটিএ) বিশেষজ্ঞ দল। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দলটি সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাট এলাকা পরিদর্শন করে।

এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কমিটির সদস্যদের বিআইডব্লিউটিএর বিশেষজ্ঞ দলকে স্বাগত জানায়। সন্দ্বীপের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির বিষয়ে মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টনের পাঠানো বার্তা তুলে ধরেন সন্দ্বীপ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামসেদুর রহমান।

এ বার্তায় বলা হয়েছে, সন্দ্বীপের মানুষ বহু বছর ধরে ঘাট ইজারাদার, বিগত সরকারের এমপি, বিআইডব্লিউটিসি ও জেলা পরিষদের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কাছে জিম্মি ছিল। সে সময় এখন নেই, আমরা স্বৈরাচার সরকারের পতনের মাধ্যমে একটা নতুন সময়ের সূচনা করেছি। আমাদের দাবি, সন্দ্বীপের মানুষের নদী পারাপারের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা যাচাই-বাছাই করে ফেরি পারাপারের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করবেন এবং সেটার প্রস্তাব সরকারের কাছে উপস্থাপন করবেন। আমি, মিজানুর রহমান ভুইঁয়া এবং আমার সংগঠন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। আশা করি, আপনাদের হাত দিয়ে সন্দ্বীপের মানুষের নদী পারাপারের দীর্ঘ লাঞ্ছনা ও ঝুঁকির সমাপ্তি হবে।

বিএনপির প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন- সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার নাসিরুল কবির মনির তালুকদার, সন্দ্বীপ পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক আহসানুল কবির তালুকদার, বহিঃবিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরামের সহ-সভাপতি আবদুল কাদের শিপন ও মো. মিলাদ, বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলমসহ অন্য নেতারা।