পাঁচলাইশে গৃহবধূর আত্মহত্যা

চট্টগ্রামের নগরীর পাঁচলাইশে শশুরবাড়ির লোকদের অত্যাচার সইতে না পেরে ফারহানা ইয়াছমিন রূপা (২৭) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচণা দানের অপরাধে স্বামী-শাশুড়িসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিএমপির পাঁচলাইশ মডেল থানায় নিহতের পিতা আবদুর রশিদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান।

আসামিরা হলেন-নিহতের স্বামী মারুফ মোহাম্মদ নাজবুল আলম (৩৮), ছাবেরা বেগম (৫৬), বেবি আক্তার (৪৫) ও ফরিদা বেগম (৪৩)। এরা সকলে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার বর্তমানে সদরঘাট আইস ফ্যাক্টরি এলাকার আবদুর রশিদের কন্যা ফারহানা ইয়াছমিন রূপার সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় একই জেলার চকরিয়া বর্তমানে পাঁচলাইশ শুলকবহর এলাকার মৃত ফরিদুল আলমের ছেলে মারুফ মো. নাজবুল আলম ৩৮) এর।

তাঁদের সংসারে মাশরুফ আলম নামে ৪ বছরের একটি সন্তান রয়েছে।

বিয়ের পর থেকেই নিহতের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে রুপার উপর অমানসিক নির্যাতন চালাতো। রুপাকে তাঁর বাবার ফ্ল্যাট স্বামীর নামে লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন।

এদিকে শনিবার দুপুরে আসামিরা ভিকটিমকে আবারও মানসিকভাবে নির্যাতন করে এবং গলায় ফাঁস দিয়ে মরে যেতে বলেন। পরে এসব অত্যাচার সইতে না পেরে রুপা গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টায় পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন শুলকবহর এশিয়ান হাউজিং সোসাইটির জাকির ম্যানশনের ২য় তলায় একটি কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এ বিষয়ে পাচঁলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মামলাটি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এদিকে, স্বামী ও শাশুড়ির অমানবিক নির্যাতনে ফারহানা ইয়াসমিন রুপার মৃত্যুতে হত্যাকারিদের বিচার চেয়ে প্রিমিয়ার ইউনির্ভাসিটির ব্যাচ ৪০ এর সকল ছাত্র-ছাত্রী আজ সকালে মানববন্ধন করেছে।