প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক পানিসীমায় আইসিবিএম নিক্ষেপ করল চীন

চার দশকেরও বেশি সময় পর একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম’র পরীক্ষা চালিয়েছে চীন। দেশটির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক পানিসীমায় আইসিবিএম নিক্ষেপ করার এ ঘটনায় প্রতিবেশী দেশগুলো প্রতিবাদ জানিয়েছে।

চীন অবশ্য বলেছে, এটি একটি ‘নিয়মিত’ পরীক্ষা এবং কোনো দেশ বা লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়নি। চীনা গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ‘সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে’ এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা আগেভাগে জানানো হয়েছিল। তবে জাপান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, চীন তাকে কিছু জানায়নি। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডও এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

আইসিবিএম দিয়ে পাঁচ হাজার পাঁচশ’ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি দূরত্বে আঘাত করা যায় বলে ধারনা করা হয় চীন তার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।

বেইজিং জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে নয়টায় দেশটি কৃত্রিম বোমা বহনকারী একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যা পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। ধারনা করা হচ্ছে, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের কোথাও এটি পড়েছে। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি ছিল একটি ‘নিয়মিত পরীক্ষা’ এবং ‘বার্ষিক প্রশিক্ষণের’ অংশ হিসেবে তা চালানো হয়েছে।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এটি কোনো বার্ষিক পরীক্ষা ছিল না বরং চীন এর আগে তার সর্বশেষ আইসিবিএম’র পরীক্ষা ১৯৮০’র দশকে চালিয়েছিল। এছাড়া, চীন সাধারণভাবে এ ধরনের অস্ত্রের পরীক্ষা দেশটির অভ্যন্তরেই শিনজিয়াং অঞ্চলের তাকলামাকান মরুভূমিতে করে থাকে। এ কারণে দেশের বাইরে এবারের আইসিবিএম নিক্ষেপ করার ঘটনাকে ভিন্নভাবে দেখছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।