চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এক মাদরাসা ছাত্রের ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ১২৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সিএমপির পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন গুলিবিদ্ধ মো. সুজন (১৪) এর মামা মোহাম্মদ রিদুওয়ান। সুজন নগরীর চান্দগাঁও এলাকার আল জামিরুল হায়াত মাদরাসায় ছাত্র।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুসহ অনেকেই।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ জুলাই বিকেলে সুজন মাদরাসা থেকে বাসায় ফিরছিলেন। সুজন মুরাদপুর এলাকার এন মোহাম্মদ প্লাষ্টিক শো– রুমের সামনে পৌঁছালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে অভিযুক্তদের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে সেখানে গোলাগুলি শুরু হয়। ওই সময় ঘটনাস্থলে থাকা মাদরাসা ছাত্র সুজন তার ডান পায়ের হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হন এবং অনেক পথচারী আহত হন। পরে সুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে অপারেশন করে তার পায়ের গুলি বের করে চিকিৎসা করানো হয়।
এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, এক মাদরাসা ছাত্র গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ১২৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।